আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচার দাবীতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
ঢাকা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রখ্যাত উপস্থাপক শহীদ নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর।
গতকাল শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ঢাকা মহানগরের অর্থ সম্পাদক এডভোকেট হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অধ্যক্ষ ডা: এস এম সরওয়ারের স্বাগত বক্তব্যে ও মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার সভাপতি যুবনেতা গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মারুফ রেযা, সহ সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম ইয়াসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্ম আরিফ খান, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুহাম্মদ মুসা, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, হাজী মুহাম্মদ রুবেল, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, হাফেজ মুহাম্মদ শাহ জালাল, হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল কাদের, শেখ মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন রেযা, হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক, হাফেজ মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, শাহাবুদ্দীন মীর, আলহাজ্ব শাফায়াত উল্লাহ্, খাজা সাইফুল হক আখন্দ, জুনায়েদ আহমদ, হাফেজ মুহাম্মদ আল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- ফারুকী হত্যার বিচার না হওয়ায় জঙ্গিবাদের আষ্ফালন বাড়ছে। ফারুকী হত্যার বিচার ৭ বছরেও হয়নি বরং ৫২ বার তদন্ত প্রতিবেদন পিছানোটা গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। হত্যার দিন তৎকালিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হত্যাকারীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস ৭ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। কেন যে এ হত্যার বিচার করছে না সরকার; তা আমাদের বোধগম্য নয়। বরং এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার প্রচন্ড ঘাটতি দেখা যচ্ছে যা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
বক্তারা আরো বলেন- এ দেশে চিছকে চোরের বিচার হয় কিন্তু একজন আন্তর্জাতিক বক্তার হত্যাকারীদের বিচার হয় না। ৬ জনকে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদকে সুনির্দিষ্ট করে মামলা করলেও আসামীদের জিঙ্গাসাবাদ করার ন্যূনতম প্রয়োজনবোধ করেনি। বক্তারা অবিলম্বে আাসামীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার বিনীত আহবান জানিয়েছেন।
শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড় এসে সমাপ্ত হয়।