গাউসিয়া-কমিটি-বাংলাদেশ

ওহাবী-হেফাজতি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মহানগর গাউসিয়া কমিটি

মহানগর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুসল্লীদের উপর হামলা করে মসজিদ রক্তাক্তকারী ওহাবী-হেফাজতি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি -সংবাদ সম্মেলনে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘরের খাদেম পাড়া জামে মসজিদে আজানের আগে দরুদ- সালাম ও নামাজের পর দোয়া করার কারণে নামাজরত নিরীহ সুন্নি মুসলমানদের উপর ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে আল্লাহর ঘর রক্তাক্ত করার প্রতিবাদ এবং এ ঘটনায় চিহ্নিত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই মসজিদটি বরাবরই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত তথা সুন্নি মুসলমান দ্বারা পরিচালিত এবং এতে আজানের আগে নিয়মিত সালাম ও দরুদ এবং আজানের পরে দোয়াসহ নামাজের পর সালাতুস সালাম এবং কিয়াম করে আসছিলেন মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা। কিন্তু ইসলামের নামে ছদ্মবেশী দরুদ ও সালাম অস্বীকারকারী চিহ্নিত ওহাবী-হেফাজতিরা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মসজিদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবার জুমার নামাজে প্রকাশ্য দিবালোকে কুরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলিলে ঠিকতে না পেরে জুমা শেষে তারা মুসল্লীদের উপর সশস্ত্র হামলা করে ২০ জনকে আহত করে, মসজিদ রক্তাক্ত করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ইতিপূর্বে আরো বহু দাঙ্গা-হাঙ্গামার নেতৃত্বে থেকে দেশে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ কায়েমের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল ঐ এলাকার চিহ্নিত ওহাবী-হেফাজতি সন্ত্রাসীরা। বক্তারা, এ বর্বর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তথাকথিত হেফাজতের সন্ত্রাসীরা পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুড়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়েও পার পেয়ে যাবার কারণে এরা ধরাকে সরাজ্ঞান করে আল্লাহর ঘরের মতো পবিত্র স্থানকে অপবিত্র করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে এশিয়াখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ অসিয়র রহমান আল- কাদেরী আজানের আগে-পরে সালতুস সালাম, দরুদ ও দোয়া পড়া সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহ ও ইজমা-কিয়াসের অকাট্য দলিল দ্বারা স্বীকৃত উল্লেখ করেন। যারা রাহমাতুল্লিল আলামীনের উপর আজানের আগে-পরে এবং নবীজির উপর কিয়াম, দরুদ ও সালাম অস্বীকার করে তাদের বহসের আহবান জানিয়ে তিনি প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আহলে সুন্নাতের ওলামা মাশায়েখ যেকোন স্থানে মুনাযারা-বহসে অংশ গ্রহণের প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

 

চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব তাসকির আহমদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার।

 

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর গাউসিয়া কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খায়ের মোহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মুনির উদ্দিন সোহেল, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল হোসাইন জসিম, সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন বেলাল প্রমুখ।