তারাবীহ’র জন্য যেমন হাফিয সাহেব নির্বাচন করবেন
রমযানের পূর্বে শা’বান মাস থেকে খতমে তারাবীহ’র জন্য হাফিয নির্বাচন করা শুরু হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক, দাড়ি, চুল, পোশাক-পরিচ্ছদ সর্বোপরি সুন্নাতের অনুসারী হাফিয নির্বাচন করা উচিত।
•বিশেষ করে বিশুদ্ধ ও ধীরস্থিরভাবে সুন্দর কণ্ঠে তারতীলের সাথে পাঠকারী হাফিযকে প্রাধান্য দিতে হবে। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে- নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-
“তোমরা সুন্দর কর কুরআন মজীদকে (সুন্দর) আওয়ায (কন্ঠ) দ্বারা”। (মিশকাত শরীফ)
অপর হাদিসে আছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-
”সুন্দর আওয়ায (কণ্ঠ) দিয়ে তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর। কেননা সুন্দর কন্ঠ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।” (প্রাগুক্ত)
হাফিয নির্বাচনের সময় যে দিকটা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সেটা হল হাফিয সাহেব আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আকীদা পোষণকারী তথা সুন্নী কিনা দেখতে হবে। কেননা দেখা যায় যে অনেক বদ আক্বীদা পোষণকারী হাফিয রমযান আসলে সাময়িকভাবে সুন্নী সেজে পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়ে যায়। এসব বদ আক্বীদা পোষণকারী ইমামের পেছনে জেনে শুনে নামায পড়লে নামায আদায় হবে না।
(মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি (হাফি.) কর্তৃক ‘বারো মাসের ফযিলত ও আমল থেকে সংগৃহীত)