বাংলাদেশ-ইসলামী-ফ্রন্ট

লকডাউন কার্যকরী সমাধান নয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন চায় -ইসলামী ফ্রন্ট

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান ও মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শহর-গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে লকডাউনভিত্তিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে।

তারা বলেন- দেশে প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।দেশের এ ক্রান্তিকালে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে।লকডাউনে একশ্রেণির মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য চলমান থাকলেও দেশের অধিকাংশ মানুষই আজ জোরপূর্বক গৃহবন্দিত্ব বরণ করে চরম উৎকণ্ঠে দিনাতিপাত করছে। ফলে ধনী গরিব বৈষম্য বাড়ছে।

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফলতি ও গলদ দূর না করে লকডাউনের মত সিন্দাবাদের ভূত চাপিয়ে দেয়ার ফলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে জন অসন্তোষ- সরকার বিরোধী মনোভাব।বিপরীতে অযৌক্তিক লকডাউনের আড়ালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা ও দূর্নীতিকে ঢাকবার চেষ্টার ফলে রুজিরোজগার হারানো ভুক্তভোগী জনতার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যেকোন সময়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যবস্থাপনা, অসত্য তথ্য পরিবেশন, সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও বল্গাহীন চমকদার আচরণ দেশের মানুষকে চরমভাবে হতাশ করেছে।

 

এসব ব্যর্থতার কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার স্বপদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে দাবি করে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাতে আমূল পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেন- করোনা নিয়ন্ত্রণে এ মূহুর্তে দৈনিক টিকা প্রদান, পরীক্ষা গ্রহণের গতি বৃদ্ধি ও ত্রুুটিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাকে ঢালাওভাবে সাজাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা বলেন- করোনা পরীক্ষা ও টিকাদান পদ্ধতি যথাযথ না হওয়ায় জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। টিকাদান কেন্দ্রে, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে মানুষের দীর্ঘ লাইন ও ভীড়ের কারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা পরীক্ষা ও টিকাদানের জন্য কেন্দ্রবৃদ্ধি করতে হবে, প্রয়োজনে স্থানীয় সরকার তথা সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা- ইউনিয়ন পরিষদ এর সহায়তা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষা- টিকাদানের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ ও দৈনিক ২০ লক্ষ নাগরিককে টিকা প্রদান, দুই লক্ষাধিক মানুষকে পরীক্ষার আওতাভুক্ত করাসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা না করলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে।

 

তারা আরও বলেন- বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষুরোগীর তুলনায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউর বেড সংখ্যা অপ্রতুল। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ব্যয় আকাশচুম্বী হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু গরীব নিম্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত রোগীরা ধুকে ধুকে মরছে।

 

নেতৃবৃন্দ- ঢাকায় ন্যূনতম ২ হাজার, চট্টগ্রামে ১ হাজার ও প্রতিটি জেলায় ন্যূনতম ৫০০ আইসিইউ শয্যা সৃষ্টি এবং বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে চলমান নৈরাজ্য রোধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।