মহিলা সাহাবীদের নবীপ্রেম
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ রিদওয়ান
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র মহিলা সাহাবীদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সর্বপ্রথম যাঁর নাম আলোচনা করতে হবে, সেই মহিয়সী শ্রেষ্ঠ মহিলা হলেন উম্মুল মু’মেনীন রফীক্বায়ে হায়াতে সৈয়্যদুল মুরসালীন হযরত খাদীজাতুল কোবরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা।
তিনি রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র শুধু সাহাবী নন, জীবন সঙ্গীনীও। সে হিসেবে রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছে। শুধু তা নয়, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র নুবূয়ত প্রকাশ পূর্ব থেকেই তিনি আল্লাহর রসূলের সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন। হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার অন্তরে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র জন্য যে অগাধ প্রেম-ভক্তি ছিলো ইতিহাসে তুলনা দেয়ার মতো দ্বিতীয় আর কোন দৃষ্টান্ত নেই। প্রিয় নবীকে কেমন ভালবাসতে হবে তার দৃষ্টান্ত হিসেবে হযরত মা খাজিদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা-ই যথেষ্ট।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার যখন শুভ বিবাহ্ সম্পন্ন হলো, তখন কুরাইশদের কতিপয় ইর্ষাকাতর লোভী ও হিংসুক প্রকৃতির লোক বলতে লাগলো, ‘‘মক্কার বিখ্যাত ব্যবসায়ী খুওয়াইলিদ তনয়া খাদিজা সর্বাপেক্ষা অভিজাত এবং ধনী হয়েও কেন নিঃস্ব এক যুবক আবদুল্লাহ’র পুত্র মুহাম্মদকে বিবাহ করে আমরা ধনী ও অভিজাত সম্প্রদায়ের সম্মান নষ্ট করলো- আমরা তো তা কোন ভাবেই মানতে পারছি না। খাদিজা আমাদের মর্যাদাহানী করেছে, আমাদেরকে অপমান করেছে, আমরা এর উপযুক্ত প্রতিশোধ নেব।’’
ঈর্ষাকাতর নিন্দুকদের এসব কথা শুনে হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা মক্কার কুরাইশ কাফির সর্দারদেরকে দাওয়াত দিয়ে একত্রিত করলেন, এবং সকলের সম্মুখে ব্যক্তিত্বপূর্ণভাবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন- পবিত্র মক্কানগরীর হে ধনী সম্প্রদায়! আমার নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী সকলেই শুনুন! আমি আপনাদেরই প্রতিবেশী একজন মহিলা। যে ধন সম্পদের বড়াই করে আপনারা গরীব-নিঃস্বকে ঘৃণা করেন সেই সম্পদে আমি আপনাদের নেতৃস্থানীয়া। কিন্তু কুরাইশ সর্দার আবদুল মোত্তালিবের পৌত্র হযরত মুহাম্মদকে বিবাহ করার অপরাধে আপনারা আমার ব্যপারে যা কিছু বলছেন তা আমার কানে এসেছে। আমি আপনাদের সকলের সম্মুখে বলে দিতে চাই- আমার ধন-সম্পদ সকল বিত্ত-বৈভব এমনকি আমার প্রাণটাও আমার প্রিয় স্বামী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র জন্য উৎসর্গ করে দিলাম। আপনারা সবাই সাক্ষী থাকুন; আজ হতে উক্ত সকল সম্পত্তির উপর আমার কোন দাবী-দাওয়া থাকবে না। আজ হতে আমার স্বামী সমস্ত সম্পত্তির মালিক হলেন। যাঁকে পুরো জীবনটুকু সঁপে দিয়ে চির জীবনের সঙ্গীরূপে গ্রহণ করেছি। যাঁর গভীর আকর্ষণে সুখ শান্তি ভোগ-বিলাস সব কিছু বিসর্জন দিয়ে দুঃখ ক্লেশকে সানন্দে গ্রহণ করেছি, তাঁকে হিংসুকের দল অবহেলা করবে তা আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারি না। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি হযরত খাজিদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার এ অভাবিত প্রেম-ভালবাসা দেখে মক্কার সকল সর্দার বিস্ময় বিমূঢ় হয়ে রইল। এরূপ ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের কথা তারা জীবনে কোন দিন শোনেনি। হয়তো পৃথিবীবাসী ভবিষ্যতেও শুনবে না।
হযরত মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার অনুপম গুণাবলী ও শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য সমূহ
মু’মিনদের মাতা হযরত খাদিজাতুল কোবরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা এমন এক সৌভাগ্যবতী রমণী যিনি, কুল মাখলুকাতের শ্রেষ্ঠ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান জীবন সঙ্গীনী; যাঁকে নিয়ে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সুদীর্ঘ পঁচিশ বছর মহাশান্তি ও সুখের দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি জীবিত থাকাবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আর কোন বিবাহ্ করেননি।
ইসলামের ইতিহাসে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র উম্মতের নারীদের মধ্যে হযরত মা খাদিজাই ছিলেন সর্বপ্রথম মুসলমান। যিনি অযু ও নামাযের নিয়ম কানুন সর্বপ্রথম শিক্ষা লাভ করার গৌরব অর্জন করেন। ইসলামের প্রথমাবস্থায় যে দু’জন ব্যক্তির অর্থানুকল্যে ইসলাম বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছিলো তাঁদের অন্যতম হযরত খাজিদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি হযরত মা খাজিদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার প্রেম-প্রীতি, ভক্তি-ভালবাসা এবং আত্মোৎসর্গের তুলনা নেই। দুর্যোগময় ও প্রতিকুল অবস্থায় হযরত মা খাদিজাই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র পারিবারিক জীবনে শান্তি, আরাম ও নিরাপত্তার একমাত্র নির্ভরযোগ্য ছিলেন। হযরত রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন চিন্তাক্লিষ্ট হৃদয়ে ঘরে ফিরে আসতেন তখন তিনি তাঁর স্বভাব সুলভ মিষ্টালাপ ও শান্ত্বনাবাক্য দ্বারা আপন স্বামী রাসূল পাকের মনে নতুন শক্তি ও সজীবতা সৃষ্টি করতেন। অকেন সময় রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বাইরে থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঘরে ফিরে আসলে মা খাদিজা ঘরে অন্য সব কাজ ফেলে স্বামীর পাশে এসে বসতেন এবং নানাভাবে তাঁর মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করতেন।
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার ধন-ঐশ্বর্য হাতে পেয়ে তা মুক্ত হস্তে দান করতে লাগলেন। নিজেদের ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধার জন্য কিছুই ব্যয় করলেন না। সমস্ত সম্পদ গরীব-দুঃখী ইসলাম ও মুসলমানের জন্য খরচ করেন। এ ব্যাপারে হযরত মা খাদিজা কোন প্রকার অীভযোগ বা নিষেধ ইত্যাদি করা তো দূরের কথা বরং তিনি তাঁকে আরও উৎসাহিত করতেন।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন কোন বিপদগ্রস্ত হতেন, তখন একমাত্র হযরত মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাই তাঁকে সেই নিরাশার মাঝেও আশার বাণী শুনাতেন, শান্ত্বনা দিয়ে বলতেন, ‘‘প্রিয়তম! আল্লাহ্ তা‘আলাই আপনাকে সাহায্য করবেন।’’
হযরত মা ফাতেমাতুয্ যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার মতো কন্যারত্ন যিনি ‘খাতুনে জান্নাত’ অর্থাৎ বেবেশতের নারীদের সর্দার আখ্যায়িত হয়েছিলেন তিনি হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার গর্ভেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
হযরত মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা আরবের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন বলে তিনি কখনও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেননি বরং তাঁর সম্পদ সমুদয় ইসলামের খেদমতে দান করেছেন। আরবের সমস্ত দুঃস্থ নর-নারীকে তিনি মুক্ত হস্তে দান করতেন। সকলে হযরত মা খাদিজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তাঁর দানশীলতা, পবিত্রতা, ধার্মিকতা, সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর ওফাতের সময় দুঃস্থ নর-নারীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিলো। তাঁর চরিত্রের নির্মলতা ও পবিত্রতার কথা আরবের সেই অন্ধকার যুগেও প্রসিদ্ধ ছিলো। তা আজও মানুষ নির্দ্বিধায় স্মরণ করে।
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র জীবদ্দশায় তাঁরই সামনে অনেক আত্মীয় স্বজন মৃত্যু বরণ করলেও হযরত মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার মৃত্যুর বছরটিকে ‘আমল খুযন’ ‘শোকের বছর’ ঘোষণা করা হলো। সে ব্যপারে কেয়ামত পর্যন্ত ইতিহাস সাক্ষী থাকবে। এ থেকে বুঝা যায় মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাকেও প্রিয় বনী কতো ভালবাসতেন।
রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘আসমান ও যমীনের মধ্যে যত রমনী রয়েছে তাঁদের মধ্যে বিবি মরিয়ম ও হযরত খাদিজাই সর্বোত্তম। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাকে ভীষণ ভালবাসতেন। তাঁর ইন্তিকালের পরও প্রায় সর্বদা তাঁকে স্মরণ করতেন এবং কথা প্রসঙ্গে তাঁর প্রশংসা করতেন। বিভিন্ন ঘটনা ও কাজের কথা বর্ণনা করতে করতে তাঁর রূহের জন্য শুভ কামনা করতেন এবং দো’আ প্রার্থনা করতেন।
একদা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অনেক্ষণ পর্যন্ত হযরত খাজিদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার জন্য দো’আ করছিলেন তখন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বিরক্তির সূরে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! একজন বৃদ্ধা স্ত্রী লোক, যিনি ইন্তিকাল করেছেন, তাঁর জন্য আপনি এতই ব্যকুলতা প্রকাশ করছেন! ওই বুড়ীর কথা কেন বার বার বলছেন? আল্লাহ্ তা‘আলা তো তার চাইতেও উত্তম যুবতী স্ত্রী আপনাকে দান করেছেন।
খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহার নবীপ্রেমের আরেক দৃষ্টান্ত বিজ্ঞ পাঠকের অবশ্যই জানা থাকবে, হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার সাথে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার আগে তিনি তাঁকে তার ব্যবসার দায়িত্বভার দিয়ে সিরিয়া পাঠিয়েছেন- হযরতকে সাহায্য সহযোগীতার জন্য ‘মায়সারা’ নামের বিশ্বাসী সুচতুর এক দাসকে এবং খোসায়মা নামের এক আত্মীয়কে সাথে দিয়েছেন।
আমার আদেশ পুরোপুরি পালন করে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারলে তোমাকে আমি আশাতীত পুরষ্কার দিয়ে চিরদিনের জন্য দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দেব। [আল্লাহু আকবর] নবী পাকের প্রতি এমন ভক্তি ও ভালবাসা! প্রকৃত পক্ষে নবীর প্রতি ভালবাসা, ভক্তি-বিশ্বাস কেমন হওয়া উচিত, হযরত মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। হযরত মা খাদিজার নবী প্রেমের আন্দাজ এ থেকেও বুঝা যায় যে, শেষ বয়সে তিনি একদিন বলেছিলেন, ‘‘হে আমার হাবীব, আমার মুনিব, আমার মাথার মুকুট আপনি আমার পাশে একটু সময় নিয়ে বসুন। আমার শেষ ইচ্ছা- আপনাকে আমি মন ভরে দেখব আর আমার অন্তরেকে শান্ত করব। আমার একান্ত বিশ্বাস যে, আপনার এ সৌন্দর্য দর্শনই আমার পরকাল মুক্তির একমাত্র ওসিলা।’’ প্রিয় নবী যখন হয়রত খাদিজার পার্শ্বে বসলেন, তখন মা খাদিজা আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার জীবন আপনার খিদমতে ব্যয় করেছি এখন তো আমার বিদায়ের সময় এসে গেছে। ইয়া রাসূলাল্লাহ্ অন্তরে আপনার বিচ্ছেদ জ্বালা নিয়ে যাচ্ছি। ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার জীবনের শেষ প্রান্তে আপনার পাক চরণে আমার আরয, কিয়ামত দিবসে যেন এ দাসীকে আপনার সাথে রাখেন, আল্লাহর কাছে যেন আমার ক্ষমা ও মুক্তির সুপারিশ করেন। সেই কঠিন মুহুর্তে আপনার সুপারিশ ও শাফা‘আতের প্রার্থনা করছি এবং বিশেষ করে আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনার খিদমত করতে গিয়ে যদি কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকে- ক্ষমা করে দেবেন এবং আমার মেয়েদের প্রতি সজাগ ও দয়ার দৃষ্টি রাখবেন বিশেষ করে সব চেয়ে ছোট মেয়ে ফাতিমার প্রতি! সে খুব ছোট বয়সেই মা হারা হয়ে যাবে।