প্রবন্ধ

আহলে বায়ত, খোলাফায়ে রাশেদা ও সাহাবায়ে কেরামের প্রতি পূর্ণ আনুগত্যই সুন্নিয়তের মাপকাঠি

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন- ইসলামের নামে আজ নানা ভ্রান্ত গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এরা বক্তব্য ও লেখনীর মাধ্যমে বিকৃত মতাদর্শটি ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়ে সরলপ্রাণ মানুষকে পথহারা করছে। অথচ আহলে বায়তে রাসূল (দ.), খোলাফায়ে রাশেদিন এবং নিস্কলুষ সাহাবায়ে কেরামের প্রতি পরিপূর্ণ ভালোবাসা ও আনুগত্য প্রদর্শনই সুন্নিয়তের মানদ- এবং মাপকাঠি। মহামনীষীদের কারো প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা ও কটূক্তিই ঈমানহানিকর হিসেবে গণ্য। হক্কানি পীর ও ওলামা মাশায়েখকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অভিন্ন প্লাটফরমে এসে ঈমান-আক্বিদা পরিপন্থি সকল অপপ্রয়াস-অপপ্রচার রুখে দেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। 

 

আজ (১৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বহদ্দারহাটস্থ আর বি কনভেনশনে হলে অনুষ্ঠিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ সোলাইমান আনসারী। সম্মেলনে বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানশিন পীর ওলামা মাশায়েখ, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মাদ্রাসা সমূহের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতি ও আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ বর্তমান নানামুখী ফিতনা-ফাসাদ পরিস্থিতিতে সুন্নি ওলামা-জনতার করণীয় নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। 

 

 

সুন্নি দাবিদার সেজে মহল বিশেষ কর্তৃক সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ইচ্ছাকৃত মনগড়া বিষোদগার ও অবমাননার পথকে রুদ্ধ করতে হক্কানি পীর ও ওলামা মাশায়েখকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফীর ওপর চন্দনাইশের মাহফিলে হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানানো হয়। আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ নানারূপী মতলবি ফেতনা ফাসাদের ব্যাপারে সুন্নি জনতার সর্তক দৃষ্টি কামনা করেন।

 

বক্তারা বলেন ইয়াজিদ পাপিষ্ঠ, নরপিশাচ ও ইসলামচ্যুত। হযরত আমিরে মুয়াবিয়া (রা) কে কখনো পুত্রের দুষ্কর্মের দায়ে দোষী গণ্য করা যাবে না। কারবালার ঘটনা টেনে যারা প্রসিদ্ধ সাহাবি হযরত আমিরে মুয়াবিয়া (রা) কে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করে তা তার প্রতি জঘন্য জুলুম ও অবিচার। সাহাবায়ে কেরাম অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি। এটাই ইসলামি আক্বিদা বিশ্বাস। ঐক্যবদ্ধ সুন্নিদের আজ বিভক্ত করতে এবং সুন্নিদের বৃহত্তর শক্তি বলয় রুখে দিতে নানাভাবে চক্রান্ত ও অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। সুন্নি দাবিদার হয়ে যারা শিয়াবাদের চেতনা ও দূষণ ছড়াচ্ছে এবং শিয়াদের ভ্রান্ত মতবাদকে ইসলামীকরণের পাঁয়তারা করছে তারা অবশ্যই পথভ্রষ্ঠ। এরা কখনো সুন্নি হতে পারে না। এদের ব্যাপারে সুন্নি ওলামা পীর মাশায়েখকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে। এদের সংশ্রব থেকে সুন্নি জনতাকে বেঁচে থাকার জন্য সতর্ক করতে হবে।

 

বক্তারা আরও বলেন, ওহাবি-মওদুদি ও শিয়াসহ সকল ভ্রান্তগোষ্ঠী আজ সুন্নিদের বিরুদ্ধে একাট্রা হয়ে লড়ছে। যখনই সুন্নিরা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ও চাঙ্গা হতে চেয়েছে তখনই সুন্নিদের বিরুদ্ধে বাতিল অপশক্তির খড়গ ও ষড়যন্ত্রের আচড় পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত তথা সুন্নিপন্থিদের উত্থান সম্মিলিত বাতিল অপশক্তি কিছুতেই বরদাশত করতে পরছে না। এই সুন্নি বিদ্বেষী ও ছদ্মবেশী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আজ প্রকৃত সুন্নি ওলামা-ছাত্র-জনতার গর্জে উঠা সময়ের দাবি। সম্মেলনে আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ সারা দেশে স্থাপিত সরকারি মডেল মসজিদে সুন্নিপন্থি ইমাম-খতিব নিয়োগ দানে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় করতে সরকারি পদক্ষেপ কামনা করেন।

 

আল্লামা জালাল উদ্দিন আল-আযহারী ও মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় শুরুতে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীছ আল্লামা কাযী মঈনুদ্দিন আশরাফী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল্লামা শাহ নুর মুহাম্মদ আল কাদেরী।

 

এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি অছিয়র রহমান কাদেরি, পীরে ত্বরিকত আব্দুশ শাকুর রায়হান আজিজী, শাইখুল হাদীছ আল্লামা মুফতি কাযী আব্দুল ওয়াজেদ, শাইখুল হাদীছ আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জমান কাদেরি, আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, আল্লামা এম এ মান্নান, আল্লামা এম এ মতিন, অধ্যক্ষ আল্লামা আব্দুল আলিম রেজভি, অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি হারুনুর রশীদ আশরাফি, পীরে ত্বরিকত মুহাম্মদ আলী জাহাগিরি, অধ্যক্ষ ড. ইসমাইল নোমানী, অধ্যক্ষ মুফতি রফিক উদ্দিন সিদ্দিকি উপাধ্যক্ষ আল্লামা জুলফিকার আলী চৌধুরী, আলহাজ্ব আনোয়ারুল হক, অধ্যক্ষ আল্লামা স উ ম আবদুস সামাদ, শাহজাদ ইবনে দিদার, আল্লামা ড.লিয়াকত আলী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুফতি আবদুল কাইয়ুম হোসাইনী, অধ্যক্ষ আল্লামা খলিলুর রহমান নেজামি, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, ড. আল্লামা বখতিয়ার উদ্দিন,অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলি, মুফাসসির আল্লামা ছালেকুর রহমান কাদেরি, অধ্যক্ষ সৈয়দ খুরশিদ আলম,অধ্যক্ষ আল্লামা ইদ্রিস, অধ্যক্ষ মুফতি বদিউল আলম রেজভি,অধ্যক্ষ আল্লামা আমির আহমদ আনোয়ারি, মুহাদ্দিস আল্লামা জসিম উদ্দিন আল আযহারি, উপাধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ আনোয়ারি, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ রেজা নক্সবন্দি, অধ্যক্ষ আল্লামা ড. খলিলুর রহমান, অধ্যক্ষ ড. সরোয়ার উদ্দিন,অধ্যক্ষ মারেফাতুন্নুর কাদেরি, অধ্যক্ষ ড. নাসির উদ্দীন কাদেরি, আল্লামা মুফতি মীর মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, অধ্যক্ষ মুফতি নজরুল ইসলাম কাদেরি, মুফতি মাহমুদুল হাসান,অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল হান্নান, অধ্যক্ষ আতাউল মুস্তফা রেজভি, অধ্যক্ষ আল্লামা শোয়াইব রেজা, অধ্যক্ষ মুফতি আবুল কালাম আমিরি, আল্লামা আবুল আসাদ জুবাইর রেজভি, অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুল আউয়াল আল কাদেরী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইফুল আলম, ড. মতিউল ইসলাম, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ জামেউল আখতার আশরাফি, পীরজাদা তাহসিন আহমদ নক্সবন্দী, পীরজাদা মতিমিয়া মনছুর, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ আনোয়ারুল মুস্তফা হেজাজি, আল্লামা গোলাম মুস্তফা নুরুন্নবী, ড.নাসির উদ্দিন নঈমি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা সোলাইমান ফারুকি,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, আল্লামা ওবাইদুল হক হক্কানি, অধ্যাপক আবুল মনসুর দৌলতী, মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলী, মাওলানা নুুরুল ইসলাম জিহাদী, আলহাজ্ব তাসকির আহমদ, অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল, আ.ন.ম তৈয়ব আলী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, এরশাদ খতিবী, মাওলানা মুনির সোহেল, মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ কাদেরি, অধ্যাপক মনজুর আলী তালুকদার, মুফাসসির কাজি ইউনুস রেজভি, পীরজাদা শহীদুল আলম আলহাদী, আল্লামা আব্দুন নবি কাদেরি, এড. মোখতার আহমদ সিদ্দিকি, মুহাম্মদ হোসাইন, অধ্যক্ষ খাজা মুবারক আলী, পীরজাদা আশেকুর রহমান হাফেজনগরী, পীরজাদা শফিকুল আলম, মুফতি আবুল হাসান ওমাইর রেজভি, মুফতি আহমদুল্লাহ ফোরকান খান কাদেরি, ইঞ্জিনিয়ার আমান উল্লাহ,মাওলানা দস্তগীর আলম, মুফতি সাঈদুল হক কাজেমি, অধ্যক্ষ ড.মহিউল হক, মাওলানা ইয়াসিন হায়দরি,জাহাঙ্গীর আলম,অধ্যাপক অহিদুল আলম, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, আল্লামা ইউনুস তৈয়বি, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, মাওলানা তারেকুল ইসলাম কাদেরি, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা, মাওলানা আবুল কাশেম আনসারী, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনছারি,সৈয়দ হাসান আযহারি, আখতার হোসেন, জসীম উদ্দীন মাহমুদ,সৈয়দ আবু নওশদ নঈমী, মুফতি গোলাম কিবরিয়া,আবদুল মোস্তফা রহিম আযাহারী, আব্দুল্লাহ আল জাবের, আবুল কাশেম তাহেরিসহ দেশশীর্ষ ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানশীন পীর মাশায়েখ ও আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ।