রজব মাসের ফযিলত ও আমল
রজব মাস হল আশহুরুল হুরুম তথা সম্মানিত চার মাসের অন্যতম মাস। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন –
إن الزمان قد استدار كهيئته يوم خلق الله السماوات والأرض السنة اثنا عشر شهرا منها أربعة حرم ثلاثة متواليات: ذو القعدة وذو الحجة والمحرم ورجب شهر مضر الذي بين جمادى وشعبان
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন-
অর্থাৎ নিশ্চয় রজব মাস হল আল্লাহর মাস। এ মাসকে বধির মাস বলা হয়। জাহেলী যুগের লােকেরা রজব মাস আসলে তাদের যুদ্ধাস্ত্র অকেজো এবং নষ্ট করে ফেলত। ফলে লােকেরা নিরাপদে বসবাস করতাে এবং যাতায়াত পথও নিরাপদ থাকত। রজব মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত পরস্পর পরস্পরকে ভয় করতাে না। (ফাযায়েলুল আওয়কাত)
إن في الجنة نهرا يقال له: رجب، أشد بياضا من اللبن وأحلى من العسل من صام من رجب يوما سقاه الله من ذلك النهر
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন-
অর্থাৎ যে ব্যক্তি রজব মাসে একদিন রোযা রাখবে সে যেন এক বছর রােযা রাখল। আর যে ব্যক্তি সাত দিন রােযা রাখবে তার জন্য জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি আটদিন রােযা রাখবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি দশটি রােযা রাখবে সে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা দেবেন। যে ব্যক্তি পনের দিন রােযা রাখবে আসমান থেকে এক আহবানকারী আহবান করবে- তােমার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তুমি এখন নতুন করে আমল আরম্ভ কর। তােমার পাপসমূহকে পূণ্যে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি আরাে বেশী রােযা রাখবে ও আমল করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আরাে বাড়িয়ে দেবেন। রজব মাসেই হযরত নুহ (আ.) নৌকায় আরােহণ করেছিলেন। তখন তিনি নিজেই রােযা রেখেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরকেও রােযা রাখার নির্দেশ দেন। তাদেরকে নিয়ে নৌকা ছয় মাস চলার পর মুহররমের দশ তারিখে মুক্তি লাভ করেন। (প্রাগুক্ত)
الله من الشهور شهر رجب، وهو شهر الله عز وجل، من عظّم شهر رجب فقد عظّم أمر اللّه ومَن عظّم أفر اللّه أذخله جنات النعيم وأوجب له رضوانه الأكبر، وشعبان شهري من عظم شهر شعبان، فقد عظم أمري، ومن عظّم أمري كنت له فرطا وذخرا يوم القيامة، وشهر رمضان شهر أمتي، من عظم شهر رمضان، وعظم حرمته ولم ينتهكه وصام نهاره وقام ليله وحفظ جوارحه خرج من رمضان وليس عليه ذنب يطلبها الله به
হযরত সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন –
অর্থাৎ রজব মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে সে দিনে রােযা রাখলে এবং সে রাতে নামায পড়লে একশত বছর রােযা ও একশত বছর নামাযের সাওয়াব পাবে। আর সে দিনটি হল ২৭শে রজব। এ দিনেই আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ এর নবুয়ত প্রকাশ করেছেন। (প্রাগুক্ত)
في رجب ليلة يكتب للعامل فيها حسنات مائة سنة وذلك لثلاث بقين من رجب فمن ثلى فيها اثنتي عشرة ركعة يقرأ في كل ركعة فاتحة الكتاب وسورة من القرآن ،ثم يقول: سبحان الله ،الحمد لله ، ولا إله إلا الله ،والله أكبر ،مائة مرة، ويستغفر الله مائة مرة ويصلي على النبي صلى الله عليه وسلم مائة مرة ،ويدعو لنفسه ما شاء من أمر دنياه وآخرته ، ويصبح صائما، فإن الله يستجيب دعائه كله إلا أن يدعو في معصية
হযরত আবু কিলাবা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- في الجنة قصر لصوام رجب অর্থাৎ রজব মাসে রােযা পালনকারীর জন্য জান্নাতে একটি মহল রয়েছে (লাতায়েফুল মা’আরিফ)
অর্থাৎ আবু বকর ওয়াররাক বালখী (রা.) বলেন রজব মাস হলাে বীজ বপনের মাস, শাবান হলাে ক্ষেতে পানি দেওয়ার মাস আর রমযান মাস হল ফসল কাটার মাস। তিনি আরাে বলেন- রজব মাস হল বাতাসের ন্যায় এবং শাবান মাস হল মেঘের তুল্য আর রমযান হল বৃষ্টির তুল্য। (লাতায়েফুল মা’আরিফ)
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রজব মাস আগমন করতো তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকত মণ্ডিত করুন আর আমাদেরকে রমযান মাস নসীব করুন।(ফাযায়েলুল আওকাত)
বইটি অর্ডার করতে কল করুন- 01639235430