মুহাম্মদ (ﷺ) নামের বরকত ও ফযীলত
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি
জুমার খুতবা
১৪ রবিউল আউয়াল|১৪৪৩ হিজরি|শুক্রবার|২২ অক্টোবর’২১
“মুহাম্মদ (ﷺ) নামের বরকত ও ফযীলত”
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন! তাঁর প্রিয় রাসূল রাহমাতুল্লীল আলামীন’র পদাঙ্ক অনুসরণ করুন। সমগ্র সৃষ্টিরাজির পূর্বে সৃজিত বরকতময় ফযীলতপূর্ণ আসমান ও জমিনবাসীর প্রিয় নাম “মুহাম্মদ” নামের বরকত অর্জনে এ পবিত্র নামের প্রতি অন্তরাত্নার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করুন। হৃদয়ের গভীরে এ নামের ভালবাসা প্রোথিত করুন।
পবিত্র কুরআনের আলোকে বরকতময় নাম “মুহাম্মদ”:
পবিত্র কুরআনে ‘মুহাম্মদ’ (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নাম চারবার এসেছে: এরশাদ হয়েছে-“আর মুহাম্মদ একজন রাসূল বৈ তো নয়। তাঁর পূর্বেও বহু রাসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন।” [সূরা আল-ই ইমরান, আয়াত-১৪৪]
“মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রসূল এবং শেষ নবী।” [সূরা আহযাব, আয়াত-৪০]
“মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।” [সূরা ফাতহ্, আয়াত-২৯]
“এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্য বিশ্বাস করে।” [সূরা মুহাম্মদ, আয়াত-২]
‘আহমদ’ নাম আল কুরআনে একবার এসেছে- “এবং আমি এমন একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন, তাঁর নাম আহমদ।” [সূরা আসসফ, আয়াত-৬]
আল্লাহ্ তা‘আলা নবীজির নাম রেখেছেন ‘মুহাম্মদ’ (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম), সুবহানাল্লাহ্! যখন নবজাত শিশু ভূমিষ্ট হয়, পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, শিক্ষাগুরু, পীর ও মুর্শিদ এবং প্রিয়জনেরা নাম রাখেন; কিন্তু নবীজির নাম রেখেছেন স্বয়ং আল্লাহ্ জাল্লাশানুহু। হযরত মা আমেনা তৈয়্যবাকে স্বপ্নে সুসংবাদ দেয়া হলো তুমি হবে এ উম্মতের সরদারের মাতা। তিনি যখন ভূমিষ্ট হবেন, তখন তাঁর নামকরণ করবে ‘মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। [মাদারেজুন্ নবুওয়ত, খন্ড-১, পৃ. ৩০৩]
উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ হযরত শায়খ আবদুল হক্ব মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলায়হির বর্ণনা মতে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা সমগ্র জগৎ সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নাম মোবারক রেখেছেন। [মাদারেজুন্ নবুওয়ত, খন্ড-১ম, পৃ. ৩০৭]
হাদীস শরীফের আলোকে ফযীলতপূর্ণ নাম “মুহাম্মদ”:
হযরত যুবাইর ইবনে মুতঈম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার পাঁচটি নাম রয়েছে, আমি মুহাম্মদ, আমি আহমদ, আমি বিলুপ্তকারী, যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা‘আলা কুফরী বিলুপ্ত করে দেবেন, আমি সমবেতকারী, আমার অধীনেই হাশরের ময়দানে সকল লোককে সমবেত করা হবে। অর্থাৎ আমার চরণ যুগলের নীচে হাশর হবে। আমি সর্বশেষ আগমনকারী। [বোখারী শরীফ, হাদীস নং-৪৮৯৬]
বর্ণিত হাদীস শরীফে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নাম মুবারক নামের মাধ্যমে তাঁর সুমহান, প্রশংসা মহিমা গুণগান শানমান, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব, প্রকাশিত ও বিকশিত হয়েছে। হাদীসে বর্ণিত পাঁচটি নামের প্রথম নাম ‘মুহাম্মদ’ ইসলামী জাগরণের কবি, নজরুল ইসলামের কাব্যে অনুরণিত ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়’ মুহাম্মদ নাম যতই জপি ততই মুধর লাগে।’ ‘মুহাম্মদ’ নামের অর্থই প্রশংসিত। স্বীয় প্রভূ কর্তৃক যিনি প্রশংসিত, আসমান-জমিন, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, তরুলতা, পাহাড়, পর্বত, নদ-নদী, মানব-দানব, সৃষ্টিকুলের সর্বত্র যিনি প্রশংসিত। সেই বরকতমন্ডিত নামের গুরুত্ব তাৎপর্য অপরিসীম।
নবীজির নাম মুবারক:
ওলামায়ে কেরাম আমাদের প্রিয় আক্বা সরকারে মদীনা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারকের সংখ্যা নিরানব্বইটি উল্লেখ করেছেন। [আনোয়ারুল বায়ান, ১ম খন্ড, পৃ. ৩১২]
প্রখ্যাত তাফসীরকারক আল্লামা ইসমাঈল হক্কী রহমাতুল্লাহি আলায়হির বর্ণনামতে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারকের সংখ্যা ১০০০। [তাফসীরে রুহুল বয়ান, ৭ম খন্ড, পৃ. ১৮৪]
নবীজির সত্তাগত নাম দু’টি:
মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের সত্তাতগত দু’টি নাম প্রসিদ্ধ। আসমানী জগতে ‘আহমদ’ জমীনে ‘মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। আহমদ অর্থ যিনি স্বীয় প্রভু আল্লাহ্ তা‘আলার অধিক প্রশংসাকারী, ‘মুহাম্মদ’ অর্থ যিনি তাঁর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ তা‘আলা কর্তৃক অধিকভাবে প্রশংসিত।
“মুহাম্মদ” নামের মহত্ব: হাদীসে কুদসীতে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন,“হে প্রিয় মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমার মহানত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের শপথ! আমি ঐ ব্যক্তিকে জাহান্নামে শাস্তি দিবনা, যার নাম আপনার নামানুসারে হবে।” [সীরতে হালভীয়া, খন্ড ১ম, পৃ. ১৩৫, আনোয়ারে মোহাম্মদীয়া, পৃ. ৩১৬]
মক্কাবাসীরা বলেন, “যে ঘরে মুহাম্মদ নামের কেউ থাকবে, সেই ঘরে বরকত ও সমৃদ্ধি হবে, অধিক রিযক্বপ্রাপ্ত হবে। তাঁর প্রতিবেশীও রিযক প্রাপ্ত হবে।” [শিফা শরীফ, ১ম খন্ড, পৃ. ১০৫]
অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ঘরে বা যে মজলিসে ‘মুহাম্মদ’ নামের কোন ব্যক্তি থাকবে সেই গৃহ ও মজলিস বরকতপূর্ণ হবে। [কাশফুল গুম্মাহ্, খন্ড-১ম, পৃ. ২৮৩]
নাম মুবারকের বরকতে ছেলে হবে এবং জীবিত থাকবে। হযরত আল্লামা ইসমাঈল হক্কী রহমাতুল্লাহি আলায়হি বর্ণনা করেন, “যার স্ত্রী গর্ভবতী হয়েছে আগত শিশুর নাম মুহাম্মদ রাখার ইচ্ছা পোষণ করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে পুত্র সন্তান দান করবেন। যার শিশু জীবিত থাকেনা, সে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আগত সন্তানের নাম ‘মুহাম্মদ’ রাখার ইচ্ছা পোষণ করবে তখন তার শিশু বেঁচে থাকবে।” [রুহুল বয়ান, খন্ড ৭ম, পৃ. ১৮৪]
যে নামের বরকতে আদম আলায়হিস্ সালাম-এর দু‘আ কবুল হলো:
হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম জান্নাত থেকে ভূপৃষ্ঠে তাশরীফ আনলেন, তিনশত বছর পর্যন্ত ক্রন্দনরত, তাওবা এস্তেগফার জারী রাখল অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে প্রভুর দরবারে প্রার্থনা করলো, “হে প্রভু আমি তোমার দরবারে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের ওসীলায় নিবেদন করছি আমাকে ক্ষমা করো।” আল্লাহ্ তা‘আলা আদম আলায়হিস্ সালামকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে আদম! তুমি আমার মাহবুব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে কিভাবে চিনতে পারলে? আমি তো এখনো তাঁকে পৃথিবীতে প্রেরণ করিনি। জবাবে আদম আলায়হিস্ সালাম বললেন, হে আমার প্রভু! তুমি যখন আমাকে সৃষ্টি করেছো আমার দেহে প্রাণ সঞ্চার করেছো, তখন আমি আমার মস্তক উপর দিকে উত্তোলন করলাম, তখন আরশ আযীমের স্তম্ভের উপর লিখা দেখলাম, তখনই আমি জানতে পারলাম, যার নাম মুহাম্মদ তুমি নিজের নামের সাথে লিপিবদ্ধ করেছো, তিনি তোমার নিকট সমগ্র সৃষ্টিকুলের চেয়ে অধিক প্রিয়। আল্লাহ্ তা‘আলা বললেন, হে আদম আলায়হিস্ সালাম তুমি নিশ্চয়ই সত্যই বলেছো, নিঃসন্দেহে তিনি সমগ্র সৃষ্টির চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়। তুমি যখন তাঁর ওসীলায় আবেদন করেছো আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) যদি না হতেন আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না। [যুরকানী আলাল মাওয়াহিব, খন্ড-১ম, পৃ. ৬২, আল মুস্তাদরাক লিল হাকিম, খন্ড-২য়, পৃ. ৬১৫]
প্রত্যেক আসমানে নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে:
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দিদার লাভে যখন উর্ধ্বাকাশে মিরাজে পরিভ্রমণ করলেন, নবীজি এরশাদ করেন,“আমি যে আসমান অতিক্রম করছি, প্রত্যেক আসমানে আমার নাম লিপিবদ্ধ পেলাম।” [হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন, পৃ. ৩১১]
নাম মুবারক চুম্বনকারী কখনো অন্ধ হবে না:
মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি আযানে আমার নাম শ্রবণ করবে এবং স্বয়ং বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে লাগাবে সে কখনো অন্ধ হবে না।” [রুহুল বয়ান, খন্ড-৭ম, পৃ. ২২৯]
নাম মুবারকের তাজিমের কারণে দু’শত বছরের
গুনাহ্গারকে ক্ষমা করা হলো:
হযরত আলী বিন বুরহানু্দ্দীন হালভী হযরত আবু নঈম আহমদ বিন আবদুল্লাহ্ ও হযরত আল্লামা ইউসুফ ইবনে ইসমাঈল নুবহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম নিজেদের কিতাবে বর্ণনা করেন।
বনী ইসরাঈল সম্প্রদায়ে এক গুনাহ্গার ব্যক্তি যিনি সুদীর্ঘ দু’শত বছর আল্লাহর অবাধ্য ছিল মৃত্যুর পর লোকেরা তাকে অপবিত্র জায়গায় নিক্ষেপ করলো, আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর নিকট ওহী নাযিল করলেন, লোকটাকে নিক্ষিপ্ত স্থান থেকে উঠায়ে নামাযে জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত মুসা কলীমুল্লাহ্ আরজ করলেন হে আল্লাহ, বনী ইসরাঈল’র লোকেরা স্বাক্ষী দিচ্ছে লোকটি বড়ই পাপী তাপী গুনাহ্গার ছিল, দু’শত বছর পর্যন্ত তোমার নাফরমানি করেছে, এরশাদ হলো, তা সত্য; কিন্তু লোকটির অভ্যাস ছিল, “লোকটি যখন তাওরাতের পৃষ্ঠা খুলতেন এবং আমার মাহবুব মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)’র নাম মুবারক দেখতেন, তা চুম্বন করে চোখে লাগাতেন এবং আমার নবীর উপর দরুদ পড়তো, এ কারণেই আমি তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দিলাম এবং সত্তরজন বেহেশতী হুরের সাথে তার বিবাহ্ দেব।” [আবু নঈম হিলাতুল আউলিয়া, সীরাতে হালভীয়া, খন্ড ১ম, পৃ. ৮০, মাআরিজুন্ন নুবুওয়ত, পৃ. ৮২]
কলেমা শরীফে নবীজির নাম মোবারক:
একজন বান্দা আল্লাহর তাওহীদ ও নবীজির রিসালাতের প্রতি পূর্ণ ঈমান স্থাপন করত: বলবে, লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রিয় রাসূল। কলেমার প্রথম অংশ তাওহীদ ও রিসালতের ঘোষণার মাধ্যমে ঈমানের পূর্ণতা। হাদীসে রাসূলে এরশাদ হয়েছে, হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “যখন আমি মিরাজে গমন করলাম, আরশে লিপিবদ্ধ দেখতে পেলাম লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্”। [ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, আদ্দূরুল মানসুর: খন্ড:৫, পৃ: ২১৯, খতিবে বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ: ১২/পৃষ্ঠা ৫০৩]
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম বলেন, “ইসলামী মনিষীগণ এ বিষয়ে একমত যে, কোন কাফির যখন ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্” বলবে সে ইসলামে প্রবেশ করল। [তাফসীরে কাইয়ুম, ১/পৃষ্ঠা: ১৭৯]
হে আল্লাহ্! তোমার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নামের ওসীলা ও বরকতে আমাদেরকে ইহকাল পরকালে সম্মান ও মর্যাদা নসীব করুন। আমিন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম;
খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।